ব্রিটিশ কনজারভেটিভ এমপি ডেভিড অ্যামেসকে ছুরি মেরে হত্যার ঘটনায় সন্ত্রাসবাদ আইনে আটক ২৫ বছরের যুবক আলী হারবি আলী সোমালিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টার ছেলে। অ্যামেস হত্যার ঘটনা তদন্ত কার্যক্রম ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের বেলফায়ার মেথডিস্ট চার্চে ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক চলার সময় ডেভিড অ্যামস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তাকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। যুক্তরাজ্যে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ নিয়ে দু’জন এমপি হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। ৬৯ বছর বয়সী অ্যামেস ছিলেন অ্যাসেক্সের সাউথহেন্ড ওয়েস্টের জনপ্রতিনিধি। তাকে হত্যার সন্দেহে পুলিশ এক ব্রিটিশকে সন্ত্রাসবাদ আইনের আওতায় আটক করার কথা জানায়। তিনি একাই হামলা চালিয়েছিলেন বলে ধারণা পুলিশের।
পুলিশ সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম জানায়নি, কিন্তু সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় অতিরিক্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত আটক রাখছে। ওদিকে, হত্যার ঘটনা তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক ব্রিটিশ কর্মকর্তা আলী হারবি আলীর নাম জানিয়ে বলেছেন, আটক হওয়া সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি একজন ব্রিটিশ নাগরিক।
আলী হারবি আলীর বাবা হারবি আলী কুল্লান ‘দ্য সানডে টাইমস’ পত্রিকাকে বলেন, তার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে সাবেক সোমালি প্রধানমন্ত্রী হাসান আলি খায়েরের প্রাক্তন উপদেষ্টা হারবি আলী কুল্লান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক ইমেইলে বলেন, “ঠিক এই মুহূর্তে আমরা এক নজিরবিহীন, ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সোমালিয়া সরকারের মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের সাবেক পরিচালক ছিলেন কুল্লান। চলমান তদন্তের কারণে এ বিষয়ে আর কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
বিবিসি জানায়, আলী হারবি আলীকে প্রথমে এসেক্সেই খুনের সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তাকে লন্ডনের একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে আবারও সন্ত্রাসবাদ আইনের ৪১ ধারায় আটক করা হয়। ইসলামি উগ্রবাদে উজ্জীবীত হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়ে থাকতে পারে- প্রাথমিক তদন্তে এমন আলামতই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।